মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ কক্সবাজার প্রতিনিধি: রোহিঙ্গা পরিচয় গোপন রেখে রহমত উল্লাহ শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন কক্সবাজার একটি মাদ্রাসায়। বসতি গড়েন শহরের কলাতলীতে। দুই সহযোগীসহ সেখানে গড়ে তোলেন আস্তানা। যেখান থেকে তারা বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম পৌঁছে দিতেন ক্যাম্পে।
গোপন সংবাদে এই তিন আরসা সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-১৫। র্যাবের দাবী আটক রহমত উল্লাহ কথিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার লজিস্টিক কমান্ডার।
রবিবার দুপুরে র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ক্যাম্পে বড় ধরনের নাশকতা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা করাই ছিল আরসার এই কমান্ডারের পরিকল্পনা।
র্যাবের এই কর্মকর্তা দাবী করেন, রোববার ভোর থেকে তারা আদর্শ-গ্রামে আরসার এই আস্তানা ঘিরে রাখে। সেখান থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জাম, হাত বোমা, মাইন, ইলেকট্রিক সার্কিট, সেনাবাহিনীর পোশাক ওয়াকিটকিসহ আরো বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করেন।
রোববার সকালে আদর্শ-গ্রামের এলাকাবাসীর সাথে কথা হয় টিটিএনের। তারা জানান, পরিচয় গোপন রেখে রহমত উল্লাহ ওই এলাকায় বসবাস করতো। নিজেকে কখনও অনলাইনে পন্য বিক্রেতা, আবার অনেক সময় পরিচয় দিতো মাওলানা হিসেবে।
রহমত উল্লাহ যে মাদ্রাসার শিক্ষকতা করতেন সেখানের এক শিক্ষক জানান, গত তিন মাস আগে রহমত ওই মাদ্রাসায় যুক্ত হন। তার কাছে সেনাবাহিনীর কিছু পোষাক তিনি দেখতে পান বলে জানান।
এদিকে এ পর্যন্ত কথিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার বিভিন্ন পর্যায়ের ৮৩ জন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।